সুধী অভিভাবকগণ!
খেজুরি পাবলিক স্কুল অভিভাবক কমিটিতে আপনি স্বাগতম!
আমরা দেখছি, ক্রম বিবর্তনের প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট আমাদের জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে; সাথে সাথে আধুনিক ইন্টারনেট শিক্ষা ব্যাবস্থার কারণে শিশুরাও আধুনিক জীবনে অভস্ত হয়ে উঠেছে। সবসময় হাতের নাগালে থাকার কারণে তারা অতি সহজেই অনলাইন খেলা, মোবাইল ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে যায়, যা তাদের আত্মীয়তা, ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও সমাজ ব্যাবস্থা থেকে অন্যত্র সময়ে দূরে নিয়ে যেতে পারে। আমরা সবাই জানি যে এই সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধা তাদের বিকাশের পথ প্রশস্ত এবং সুবিধাজনক করতে পারে, কিন্তু এটি যখন সীমাবদ্ধতার কারণ বা ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, তখন তা একটি মহাক্ষতির কারণও হতে উঠতে পারে। অতএব, আমাদের দায়িত্ব হলো আমাদের প্রিয় ছেলে-মেয়েদের কীভাবে অনলাইন জগতের মধ্যে থেকেও সুরক্ষিত রাখা যায় সেই সংক্রান্ত কিছু উপায় অবলম্বন করা।
১. শিশুদের সাথে সময় কাটান : শিশুদের সাথে বেশি সময় কাটানো শ্রেষ্ঠ উপায় হলো তাদের সাথে বাস্তব জীবনের পরিচয় করানো। নিজের ব্যাস্ত কর্মজীবনের ফাকে শিশুদের সাথে যতটা সম্ভব বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন এবং ওদের মন বুঝে আরও বেশী সময় শারীরিক কাজকর্মে বা ঘরের চার দয়ালের গণ্ডির বাইরের কাজ কর্মে বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন এবং তাদের সাথে পরিবেশের পরিচয় করান এবং সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করুন। এটি তাদের প্রশ্ন করার এবং তাদের মতামত জানার জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি করবে।
২. মানসিক স্বাস্থ্যের প্রমোশন: শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং কর্মক্ষমতা এগিয়ে উঠার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়া উচিত। পাঠাগার, বাড়িতে খেলা, বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটানো, বাইরে খেলাধুলা এবং নিয়মিত শরীরচর্চা কার্যক্রম শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।
৩. ওয়েবসাইট ফিল্টার এবং সময় প্রতিবন্ধী: শিশুদের কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করার আগে ওয়েবসাইট ফিল্টার সেট করুন এবং কোনও অপ্রয়োজনীয় ওয়েবসাইটে প্রবেশ নিষীদ্ধ করুন। আপনি প্রয়োজন অনুসারে তাদের মোবাইল ফোনের ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট করতে পারেন, প্রতিবন্ধের সময় সুনির্দিষ্ট করতে পারেন, যাতে তারা ব্যক্তিগত বা প্রাপ্তবয়স্ক জিনিসপত্র না ব্যাবহার করতে পারে, আকারনে অনলাইনে বেশি সময় না কাটাতে পারে।
৪. সাক্ষরতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ : ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং অনলাইন প্রয়োগের সাথে পরিচিত হওয়া তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অপরিচিত স্থানে অপরিচিত লিংকে ক্লিক করার পরিহার করার জন্য তাদের ইন্টারনেট সাক্ষরতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ করাটি উপকারী হতে পারে।
৫. পরিচর্যা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সীমা সেট করা : আপনি শিশুদের মোবাইল ফোনে সময় সীমা এবং অনলাইন খেলায় সময় সীমা সেট করতে সাহায্য করতে পারেন। এটি তাদের মাধ্যমে আত্ম-নিয়ন্ত্রণ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং তাদের অনলাইনে সময় নির্ধারণ করার জন্য প্রয়োজনীয়তা ও নিয়মানুবর্তিতা সৃষ্টি করতে পারে।
৬. আপনার উদাহরণ : শিশুরা মাতা-পিতার প্রতিটি পদক্ষেপ কে আদর্শ এবং নির্দেশিকা হিসেবে ব্যাবহার করে। আপনি যখন আপনার শিশুদের সামনে মোবাইল ফোন বা অনলাইনে ব্যাক্তিগত সময় কাটাবেন, তখন আপনার ব্যবহার সম্পর্কে সদা সতর্ক থাকাটি গুরুত্বপূর্ণ।
উপরের প্রস্তাবগুলি আপনার শিশুদের অনলাইন গেমস, মোবাইল ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহারে সাহায্য করতে পারে। শিশুর প্রয়োগের সাথে সাথে প্রাপ্ত হওয়া বিশ্বাস এবং আপনাদের সহায়তায় তারা অনলাইনে সুরক্ষিত থাকতে পারে এবং জীবনে পরিণত হতে পারে। এই সুন্দর প্রয়োজনীয় সময়ে, সঠিক গাইডেন্স এবং ভালবাসা আপনার শিশুদের জীবনে সফল ও কার্যকর হতে সাহায্য করবে।
মাতা-পিতা হওয়া কঠিন এবং বিশেষ মানসিক ধৈর্যের পরিচয়, সময় সময়ে পিতামাতার জীবন খুবই কঠিন হতে পারে। কিন্তু আপনার সন্তানের সুরক্ষার জন্য এই প্রস্তুতি করাটি খুবই দরকারি।
সবাইকে এই বিশেষ মিশনে সাফল্য এবং আপনাদের সন্তানের বিশেষ মেধার কামনা করছি! একটি সুস্থ এবং সুরক্ষিত ডিজিটাল প্রয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করতে আপনার প্রচেষ্টা অমূল্য!
সাথে থাকা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা সহ,
খেজুরী পাবলিক স্কুল
Via: Khejuripublicschool.org